সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিচার প্রার্থীদের সেবার মাধ্যমে প্রমাণ করবো আমরা ভালো কাজ করতে পারি। তার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আপনার যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। কি নেই তার কোন শেষও নেই। তাই যা আছে তা নিয়ে ভালো থাকুন, ভালো সেবা দিন।’
প্রশিক্ষর্ণীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের জ্ঞানের জায়গা নিয়ে পার্থক্য কম। কাজের জন্য ও সেবার জন্য দক্ষতা অর্জন করে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার প্রার্থীদের সেবা দিতে হলে আমাদেরকে অফিসে ভালো মন নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিবারের অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সমস্যার প্রভাব যেন অফিসে না পড়ে, সেদিকে শুধু খেয়াল নয় পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের সাথে ভালো আচরণ করবেন। অদক্ষতার জন্য অফিস থেকে মন খারাপ করে বাসায় ফিরলে সেখানেও সাধারণ জীবন-যাপনে সমস্যা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেবাই আমাদের কাজ। বিচার প্রার্থীদের স্বল্প সময়ে আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মঙ্গলবার (৭ জুন) চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটের কনফারেন্স হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী সিলেট আয়োজিত সহায়ক কর্মচারীদের ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদের সভাপতিত্বে ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানার মলির সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার পরিচালক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন বেগমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সিলেটের বিদ্যুৎ কোর্ট (বিউবো)’র ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) মো. আনোয়ারুল হক, ১ম আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী, ১ম আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল ওয়াহাব, ২য় আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা ইয়াছমিন, ৩য় আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন, ৪র্থ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা মলি, ৫ম আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমদ সহ সকল কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নাজির মো. ফাইজুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করে স্টেনোটাইপিস্ট সঞ্জিত শর্মা।