বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াবহতার কারণে দু’বছর পর আবার সশরীরে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সিলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী জাতীয় শোকদিবস পালিত হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে শোকের এইদিনটি পালনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
কর্মসূচিতে থাকছে, মাসব্যাপী প্রতিটি সরকারি ভবনে ড্রপডাউন ব্যানার টানানো, পনেরো আগস্ট সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনাসভা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে পাঠ, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা ইত্যাদি।
এবার সিলেটে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির বিশেষ দিক হচ্ছে, স্কুল-মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোকদিবসের প্রতিটি আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা এই মহান নেতার জীবনাদর্শন জানতে ও ধারণ করতে পারে।
প্রস্তুতি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবু মো. ছিদ্দিকুর রহমান, আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওদুদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাস গুপ্ত, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান ভূঞা প্রমুখ।