জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যৌথ উদ্যেগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শনিবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৪টায় সুরমা মার্কেটস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এ কর্মীসভা করা হয়।
এতে শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি উসমান গণির সভাপতিত্বে এবং শুভ আজাদ শান্তর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হক লিকু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমদ জয়, সহ-সভাপতি মো. মিলন বিশ্বাস, ওয়াসিম মুহাম্মদ শামস, শিবানন্দ হাজং, সাংগঠনিক সম্পাদক তুখোড় আড়ং, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাকেশ চন্দ্র দাস, পাঠচক্র সম্পাদক জুয়েল চাকমা, প্রচার সম্পাদক শুভ্রদেব হাজং, জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক নাজমুল হোসেন, শাহপরাণ থানা কমিটির আহবায়ক আব্দুস সালাম, অন্যতম নেতা, সায়মন কবির বন্ধন, রূদয় মিয়া প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, আজ থেকে ৫০ বৎসর আগে যে দাবী সংকট নিয়ে জাতীয় ছাত্রদলের জন্ম একটি গণমুখী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের আপামর শিক্ষার্থীদের যে দাবী একটি গণমুখী বিজ্ঞান ভিত্তিক ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, তা এ যাবৎকালে যতগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে তার কেউই কর্ণপাত করেনি। উল্টো এসডিজির নামে সাম্রজ্যবাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ি শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করছে। প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আজ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী বেকার জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে, কেউবা সমাজ পরিবারের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পিছপা হচ্ছে না। যার দায়ভার রাষ্ট্র-সরকারের নেওয়ার কথা থাকলেও তারা অত্যন্ত সু-কৌশলে তা প্রেম সংগঠিত কারণ বা অন্য কারণ দেখিয়ে পাশ কাটাতে তৎপর। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক একটি সমস্যার পাহাড়, অথচ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ও বিরোধী দলীয় ছাত্র সংগঠনের মারামারি, খুনোখুনির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিদির্ষ্টকালের ছুটি, সম্প্রতি আবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠ রাজনীতি চর্চায় বাধার সৃস্টি করছে। রাষ্ট্র-সরকার বর্তমান ছাত্রসমাজকে এমনভাবে সমাজে উপস্থাপন করছে যেন ছাত্র মানে উগ্র, মাস্তান, ক্যাম্পাস দখল, টর্চার সেল, র্যাগিংসহ নানা প্রকার নেতিবাচক কাজে লিপ্ত। অথচ একটু খোঁজ নিলে দেখা যায় বাংলাদেশে যতগুলো ক্যাম্পাস হত্যা ধর্ষনসহ সকল অপকর্মের খাতার প্রথম সারিতে থাকবে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সম্পৃক্ততা বা বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনের।
অথচ যার পুরো দায়ভার দেওয়া হচ্ছে পুরো ছাত্রসমাজকে। সরকার সাম্রাজ্যবাদী নীতি নির্দেশে অত্যান্ত সুচতুরভাবে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এতে যেমন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ হাসিল হবে সাথে সাথে সরকারের ক্ষমতা পাকাপোক্ত হওয়ার পথ দৃঢ় হবে।
জাতীয় ছাত্রদল তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের ছাত্রসমাজের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম সংগঠনের চড়াই-উৎরাই মোকাবেলা করে আগামি ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি