সংগঠনের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নগরীতে মিছিল-সমাবেশ করেছে সিলেট মহানগর সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সুমিত কান্তি দাস পিনাকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নোশিন তাসনিম, শাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক তানভীর রহমান, এম.সি কলেজ শাখার সংগঠক মিসবাহ খান, বালুচর অঞ্চলের সংগঠক দোয়েল রায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক বুশরা সোহাইল ও চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক অধীর বাউরী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন- ‘আজ শিক্ষা উপকরণের দাম আকাশচুম্বী। একদিকে বাজারে সকল পণ্যের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে, তার সাথে নতুন করে শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। পুনঃভর্তির নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ‘২১ চালুর মধ্য দিয়ে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য Man making- character buliding থেকে সরে এসে একদল কর্মচারী তৈরির পায়তারা হচ্ছে।’
বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র পরীক্ষার হল, ক্লাস রুম, শিক্ষক ও আবাসন সংকটের চোরাবালিতে নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে ক্লাস সংকট। যেখানে ২১০ দিন ক্লাস হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে মাত্র ৩০-৪০ দিন ক্লাস। তাছাড়া নানা অজুহাতে খর্ব করা হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন। আর সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা ব্যবসার নিদর্শনে পরিণত হয়েছে সেখানে নামে বেনামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ফী। এভাবেই বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকারের উচ্চশিক্ষা সংকোচনের নীল নকশা।
চা জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘বিস্তীর্ণ চা অঞ্চলে ১৬৬ টি চা বাগান থাকলেও সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে হাতেগোনা ১৫-১৬ টি। শুধুমাত্র চা বাগানে নয় সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডেও গড়ে উঠেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্যদিকে সিলেটে সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা সর্বসাকুল্যে ৪ টি। এ অবস্থায় শিক্ষার অধিকার আদায়ের বিকল্প নেই।’
বক্তারা বলেন, ‘একদিকে যখন দেশের শিক্ষার এই অবস্থা তখন অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি। আবার মানুষ যখন এই অন্যায় দুর্নীতির প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে তখন আমরা দেখছি সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত নানা কালাকানুন দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
বক্তারা, দলীয় সরকারের অধীনে আপেক্ষিক অর্থেও আর কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।