সিলেটে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করে ঘাতক-দালালদের বিচারের মাধ্যমেই তাদের প্রতি যোগ্য সম্মান প্রদর্শিত হবে। এ প্রক্রিয়ায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর মাছিমপুরস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেটের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে ক্রমাগত লড়তে হয়েছে হেফাজত-জামায়াত-বিএনপির মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়ের উপর যেখানেই হামলা হয়েছে নির্মূল কমিটির সদস্যরা সেখানে ছুটে গিয়েছেন। বিপন্ন মানুষকে তারা সাহস জুগিয়েছেন, সামাজিক প্রতিরোধ সংগঠিত করেছেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে চাপ দিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে সাধ্যমতো আর্থিক ও আইনি সহযোগিতাও প্রদান করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্তবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সিলেট জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক শেখ আলী শাহ নেওয়াজ পরাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার ধর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, মনোরঞ্জন তালুকদার, অঞ্জুমান দত্ত অঞ্জন, এডভোকেট জাহিদ সরোয়ার সবুজ, সার্জেন্ট আবুল হোসেন, মনোজ কপালী মিন্টু, ওয়ালিউর রহমান মাহমুদ ওয়ালি ও জান্নাতারা খানম পান্না।

সম্মেলনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলকে সভাপতি ও এডভোকেট শামসুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।