সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে নিরপেক্ষভাবে গ্রাম আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এখতিয়ারভুক্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে আইনে প্রদত্ত বিচারিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। গ্রাম আদালতের আইনি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে দুর্নীতি ও অপরাধ মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (১ জুন) সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয়) পর্যায় প্রকল্প”র আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যানগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গ্রাম আদালত আইন এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা সম্পর্কে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন সিলেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, সহকারী কমিশনার, স্থানীয় সরকার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার, সিলেটের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আইন বলে বিচারক ক্ষমতা কেবলমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরই দেওয়া হয়েছে, তাই আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতার ন্যায়সংগত প্রয়োগ নিশ্চিত করে প্রান্তিক জনগণের ন্যায় বিচারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গ্রাম আদালত মামলা বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফর্ম, ফরমেট ও রেজিস্ট্রারের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং গ্রাম আদালতের বিচারক প্রক্রিয়া ও ধাপ সমূহ ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।