সিলেট নগরীর তেলিহাওর এলাকা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর নাম ফারজানা হক মিলি। তার বয়স ২৫ বছর।
জানা গেছে, তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসলের তৃতীয় তলার এ-২ ইউনিটে মিলি ও মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি তাদের পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত শুক্রবার রাতে মিলি না খেয়েই তার শয়নকক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্বামী একই বাসায় থাকলেও ঘুমান ভিন্ন কক্ষে। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মিলির কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে একটি থাই গ্লাসের দরজা এবং কক্ষের মূল দরজা ভেঙে তারা মিলির দেহ খাটের উপরে হাঁটু ভর দেয়া এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। এসময় পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি জানান, সাড়ে ৪ বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে রেহানা ও মিলি তাদের পরিবার নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত ছিলেন না। উল্টো অনলাইনে জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছেন। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা এক দিনেই জুয়া খেলায় খুইয়েছেন আলম। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন মিলি। এর আগেও স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়ে এক সঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদ্বীপ দাস বলেন, গৃহবধূর স্বামীকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।