সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। লুটপাট আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে হাহাকার চলছে। জনগণ আর এই অপশাসনের ভার বইতে পারছে না। দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ করার ফলে এখন ন্যায়বিচার পাওয়া প্রায় দুষ্কর। বিচার বিভাগে লাগামহীন দলীয়করণ করে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনরোষ থেকে রেহাই পাবে না। তাই জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ৩ নম্বর বার মিলনায়তনে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার না কি লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠিয়েছে। তাহলে এখন শতভাগ বিদ্যুৎ কোথায় গেল? বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ কোথায়? বিদ্যুতের কারণে দেশের কল-কারখানার উৎপাদন ব্যবহত হচ্ছে, কৃষি মৌসুমে কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ বিদেশে অর্থ পাচার করে এবং নামে-বেনামে নিজেদের লোকদের ঋণ দিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে দেশের রিজার্ভ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। একদিকে সরকার ঋণখেলাপিদের দায়মুক্তি দিচ্ছে আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তাই দেশকে বাঁচাতে, জনগণকে বাঁচাতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই জালিম সরকারকে বিদায় করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সকল অর্জন খেয়ে ফেলেছে, রিজার্ভ গিলে ফেলেছে। আর কয়েকদিন ক্ষমতায় থাকলে পুরো দেশটাকে খেয়ে ফেলবে, দেশের অস্তিত্ব আর রাখবে না। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলায় প্রতিনিয়ত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। শত শত নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। তাই এখনই সময় এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। দেশকে বাঁচাতে হলে সর্বগ্রাসী এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ শিগগির আওয়ামী লীগের পতন হবে।
এসময় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নুরুল হক, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার, অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জুবের খান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট এজাজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ, অ্যাডভোকেট তানভির আক্তার খান, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি, অ্যাডভোকেট আল ইসলাম মুমিন প্রমুখ।