সিলেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মশালা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, লেবু জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশ ব্যাপী বিপ্লব ঘটাতে হবে। এগুলোর প্রসার ও উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে দেশে মাল্টা, কমলা ও বাতাবি লেবুর চাষের প্রচুর সম্ভাবনাও রয়েছে। কমলা ও মাল্টাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে মাল্টা, বাতাবি লেবু, কমলা, এলাচি লেবু, জারা লেবু, কলম্বো লেবু, সাতকরাসহ নানা ধরনের লেবুজাতীয় ফল রয়েছে। ভিটামিন সি-এর প্রধান উৎস হলো লেবু জাতীয় ফসল। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের দেশের লেবু জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদের হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা-২০২২-২৩ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশররফ হোসেন খান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে, এস.আর.ডি.আই সিলেটের সিএসও ড. মুনফিক আহমদ চৌধুরী, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার তমিজ উদ্দিন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ ড. ফারুক আহমদ।

গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হান পারভেজ রনির উপস্থাপনায়ন কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন জেলার উপ-পরিচালক, জেলার প্রশিক্ষণ অফিসার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, উপজেলা কৃষি অফিসার, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন।