সিলেট নগরীর ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদীর বাসায় ছাত্রলীগের হামলা অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮ টায় নগরীর দরগা মহল্লার কাউন্সিলর হাদীর বাসায় ছাত্রলীগের ৫০ থেকে ৬০ জন হামলা চালায়।
ছাত্রলীগ নেতা আদনান মির্জা ও ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং এর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বলেন, ছাত্রলীগের নামধারী বখাটেরা মাদার কেয়ার হাসপাতালের গল্লিতে প্রায়দিন চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো। এলাকা বাসীরা আমাকে জানলে আমি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গল্লির ভিতরে না বসার জন্য অনুরোধ জানাই। পরে আমাদেরকে উদ্দ্যশই হুমকি দেয় তারা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দা ও দেশী অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়। পরে আমি এশার নামাজের জন্য মসজিদে চলে আসি। নামাজ শেষে বাসা যাওয়ার পর দেখি আমার বাসা ও আমার ভাইর বাসার গেইট ভেঙ্গে সশস্ত্র হামলা চালায় তারা।
তিনি আরো বলেন, আমার বাসার ঘরের বিভিন্ন জানালা, একটি মটর সাইকেলসহ বাসার সবকিছু ভেঙ্গে দেয় তারা। হামলা চালানোর সময় বলে এ হাদী বের হয়ে আস। নামধরে গালিগালাজ করে। স্লোগান দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। পরে আমার বাসার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাদীর বাসা পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ওসি মো: আলী মাহমুদ বলেন, নিজেদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। আমার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনা কেউ মামলা দায়ের করেননি। মামলা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।