সিলেট ও উজানের বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ শুক্রবার (২১ জুন) নদ-নদীর পানি কমার গতি আরও বেড়েছে। জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে।
একইভাবে সিলেট ও উজানে কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতও হয়নি। গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ৫দিন পর সিলেটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলেছে। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় রোদ উঠতে দেখা গেছে। এতে বানভাসী মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ সিলেট নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘আজ নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন বাসিন্দা। এ অবস্থায় জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। এরমধ্যে ৩৬১ আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৮৬জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও কোনো বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি।