বন্যাকবলিত মানুষদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখানে মাটি উঁচু করে কোনো রাস্তা হবে না। এলিভেটেড রাস্তা হবে। তাহলে সমস্যা হবে না।’ সিলেটের রাস্তার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পানিবন্দি মানুষের জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্য ও ওষুধ আরও যা লাগে দেয়া হবে। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২১) সার্কিট হাউজে এই সভায় অংশ নেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, এই পানি ধীরে ধীরে মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাবে। সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিন সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ৯টা ৫৮ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। সকাল সোয়া ১০টায় সার্কিট হাউসে পৌঁছান।
হেলিকপ্টারে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো বহু জায়গায় মানুষকে পানিবন্দি দেখলাম। আগামী পূর্ণিমায় কী অবস্থা হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই পানি নামতে-নামতে মধ্যাঞ্চলে যাবে। দক্ষিণ অঞ্চলে পাব আরও পরে। এটা চিরাচরিত নিয়ম। শ্রাবণ-ভাদ্রের শেষ থেকে দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে।’
‘এই বন্যা কিন্তু শেষ না। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এখন থেকে ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
নদী খননের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একবার প্রধান ড্রেজিংয়ের পর প্রতিবছর তা করতে হবে।’
স্থানীয় প্রশাসন এবং নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসন যেভাবে কাজ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা আমাকে বন্যার ছবি পাঠিয়েছেন। আমি সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সেনাপ্রধানকে দিয়েছি। তাতে উদ্ধার কাজ সহজ হয়েছে।’
খাদ্য গুদাম রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুদামে যেন পানি না ঢোকে সে জন্য চারদিকে দেয়াল দিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। সঙ্গে একটি পাম্প থাকবে। যেন পানি সরানো যায়। আবার খেয়াল রাখতে হবে খাদ্য যেন বের করা যায়।’