সিলেটে ইজতেমা ঘিরে উত্তেজনা, মুখোমুখি আয়োজক-পুলিশ

সিলেটে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের দুইদিনব্যাপী ইজতেমা পেছানোর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। আগামী শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পর ইজতেমা আয়োজনের কথা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে ইজতেমার ঠিক আগের দিন পুলিশের এই নির্দেশনা মানা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা বলছেন, তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন ইজতেমা পেছানো সম্ভব নয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাদ ফজর থেকে সিলেট শহরতলীর ট্রাক টার্মিনালে দুইদিনের এই ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা।

সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম ও বরুনার পীর মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুকের আহ্বানে গত এক মাস ধরে সিলেটে দুইদিনের এই ইজতেমার আয়োজন চলছে। প্রথমে ইজতেমার স্থান ছিল সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা ময়দান। কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশের চিন্তা মাথায় রেখে পরে সেখান থেকে সরিয়ে শহরতলীর ট্রাক টার্মিনালে নেয়া হয়। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।

জানা গেছে, বিশাল সামিয়ানা টানানোর পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে আয়োজনের এই ইজতেমায় দেশ-বিদেশের মেহমানদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ইজতেমায় অংশ নিতে সিলেটে চলে এসেছেন।

পুলিশের নির্দেশনার পরই ইজতেমার আয়োজনস্থলে থাকা ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় বলে জানা গেছে। ইজতেমা নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার দৃঢ় ঘোষণা দেন তারা।

ইজতেমার আয়োজক আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে নাজিম মাওলানা সাদ আমিন বরুনা বলেন, মোগলাবাজার থানার ওসি এসে ইজতেমা পেছানোর কথা বলে গেছেন। তবে আমাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেহমানরাও এসে গেছেন। এ অবস্থায় ইজতেমা পেছানো সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদ্বীপ দাশ বলেন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ১৯ নভেম্বরের পর ইজতেমা আয়োজন করার কথা সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বিএনপি’র মহাসমাবেশের কারণে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।