সিলেটে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ (১৯)-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের কর্মীরা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরস্থ টিভি গেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের কর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর টিবি গেইট এলাকায় আরিফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় অপর গ্রুপের কর্মীরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আরিফকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরিফের মায়ের দাবি, কয়েক দিন আগেই বালুচর এলাকায় ওয়াকওয়েতে বসা অবস্থায় আরিফকে মারধর করে কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমার ছেলেকে সবাই মিলে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আরিফের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি কাউন্সিলর নিপুসহ তার কর্মীরা মিলে আমার ছেলেকে মারধর করছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও আরিফের ওপর বালুচর এলাকায় হামলা চালায় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। যারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় সন্ত্রাসী কায়েম করতে মানুষকে নির্যাতন করছে, তারাই আজ আরিফকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, নগরীর বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।