সিলেটে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

সিলেটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রোববার (২৯ মে) সকালে সিলেট সেনানিবাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হামিদুল হক।

তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি প্রয়াসের সাথে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৮টি দেশে ৬৮২৫ জন সামরিক ও পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষার কাজে এ যাবৎ ১৬১ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ২৫২ জন। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দূরদর্শীতা, সংবিধানের দিকনির্দেশনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুপ্রেরণা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা বিশ্বের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। সেই সাথে সম্প্রতি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক ও গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মুহাম্মদ মফিজ উদ্দিনসহ, পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, স্থানীয় ইউএনসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং জাতিসংঘের স্থানীয় কর্মকর্তা।

এরপর শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন কর্মকর্তারা। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সেনানিবাস এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সদস্যগন বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা স্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ১৯৪৮ সাল হতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালের আগষ্ট মাস হতে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রয়াসের সাথে সম্পৃক্ত হয়।