দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি আসনের ৫০ জনকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সংরক্ষিত ৫০টি আসনের একক প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এ ঘোষণায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হলেন সিলেট থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৪ মার্চ এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ছিল। তবে প্রতিটি আসনে মনোনীত সদস্যদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। এই নির্বাচনের ভোটার জাতীয় সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। তবে কখনো ভোট হতে দেখা যায় নি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে বিভিন্ন দল বা জোটের পাওয়া আসনের সংখ্যানুপাতিক হারে নারী আসন বণ্টন করা হয়। ১৪-দলীয় জোটের দুটি আসন এবং স্বতন্ত্র ৬২ জন সদস্যের সমর্থন নিয়ে এবার আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৮টি আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২টি সংরক্ষিত আসন।
সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ১৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ে সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় ৫০ জনকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী নারী প্রার্থীদের গেজেট আগামী মঙ্গলবার প্রকাশ করা হতে পারে। গেজেট প্রকাশের পর শপথ নেবেন ৫০ নারী সদস্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার রবিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মোট ৫০টি মনোনয়নপত্র পেয়েছিলেন, বাছাইয়ে ৫০টি মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়। আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। এই সময়ে কেউ প্রত্যাহারের আবেদন করেননি। সবার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় জাতীয় পার্টি থেকে দুজন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোট থেকে পাওয়া ৪৮ জনকে বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।