সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, সিলেটের মানুষকে বঙ্গবন্ধু আলাদাভাবে ভালোবাসতেন। সিলেটের মানুষও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সিলেটবাসীর অকৃত্রিম শ্রদ্ধা রয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সিলেটের প্রবাসীরা নানাভাবে অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুও প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ হয়ে যেত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘আগস্ট শোকের, আগস্ট শক্তি ও সাহসের’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নগরের পূর্বজিন্দাবাজারস্থ জেলা প্রেসক্লাব মিলনাতনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক আল আজাদ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ।
তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। জেলা প্রশাসক বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হয়।
মো. মজিবর রহমান আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি চায়নি, তারাই বাংলাদেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। খুনিরা শুধু জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেই ক্লান্ত হয়নি। ইতিহাসের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও আইন করে রুদ্ধ করে দিয়েছিলো। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ওই কালো আইন বাতিল করে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করেন। যার কারণে হত্যাকারীরা অপরাধ করে রেহাই পায়নি।
পঁচাত্তরের বর্বরোচিত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি যারা এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে তাদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
এসময় জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্য অবদান রেখে যাবেন।
জেলা প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেলের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি মঈন উদ্দিন, কার্যনিবাহী সদস্য, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, দৈনিক একাত্তরের কথার বার্তা সম্পাদক, ক্লাব সদস্য সাঈদ চৌধুরী টিপু, চ্যানেল আই সিলেট প্রতিনিধি, ক্লাব সদস্য সাদিকুর রহমান সাকী ও সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি সুর্বণা হামিদ প্রমুখ।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ বাঙালি জাতি কখনও শোধ করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল এদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানো। বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যা নয়, এটি রাষ্ট্র, সংবিধানকে হত্যা।
আলোচনাসভায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি এস. সুটন সিংহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুলতান সুমন, দপ্তর সম্পাদক এসএম রফিকুল ইসলাম সুজন, কার্যনির্বাহী সদস্য মিঠু দাস জয়, ক্লাব সদস্য মোহাম্মদ মহসিন, শাব্বীর আহমদ ফয়েজ, রায়হান উদ্দিন, সুব্রত দাস, মো. শাহীন আহমদ, আশরাফ চৌধুরী রাজু, রনজিৎ সিংহ, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আহমদ জামিল, জিকরুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, মো. রেজাউল হক ডালিম, ফয়জুল আহমদ, নবীন সোহেল, মো. ইয়াকুব আলী, রাজীব রাসেল, মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, তুহিন আহমদ, আশরাফ আহমদ, আহমদ ইমরান, পল্লব ভট্টাচার্য্য, সহযোগী সদস্য সাজলু লস্কর, মো. শহীদুল ইসলাম সবুজ, দৈনিক একাত্তরের কথার স্টাফ রিপোর্টার জয়ন্ত কুমার দাস, সিলেটভিউ২৪.নিউজের স্টাফ রিপোর্টার মো. মুন্না মিয়া, বাংলাভিউ টিভির স্টাফ রিপোর্টার নাজাত আহমদ, আরটিভি এমএ কাইয়ুম, সিলেটভিউ২৪.নিউজের স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম মাহি, সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাবের সদস্য হেনা মমো ও সদস্য শ্রাবণী তালুকদার প্রমুখ।