সিলেটের মাঠে দিনের প্রথম বলেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১০ করে বাংলাদেশ। ২য় দিনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল বাড়তি কিছু রান যোগ করা। কিন্তু সে আশা আর পূরণ করা হলো না। দিনের প্রথম বলেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন শরীফুল ইসলাম। পাকিস্তানি আম্পায়ার এহসান রাজা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাউদির আবেদন। তবে রিভিউ নিয়ে ঠিকই সফল হলেন কিউই অধিনায়ক। আগের দিনের ৩১০ রানের সঙ্গে কোন রান যুক্ত করার আগেই অলআউট বাংলাদেশ।

আগের দিনটাও নিউজিল্যান্ড শুরু করেছিল রিভিউ দিয়ে। সেবার সফল না হলেও দ্বিতীয় দিনে এসে ঠিকই নিজেদের প্রত্যাশিত ফল পেয়েছে কিউইরা। আর নিজেদের ইনিংস শুরুর আগেই পিচে হালকা রোলিং এর অনুরোধও করে গিয়েছেন সাউদি।

গতকাল দিনের শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের জন্য। ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে বড় কিছুর ভিত গড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। টাইগার অধিনায়ক শান্ত ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন জয়। অবশ্য ৮৬ রানের মাথায় ফিরে গেছেন তিনিও। এরপর মুশফিক-সোহানদের ব্যর্থতায় কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ।

তবে দশম উইকেট জুটিতে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শরিফুল-তাইজুল। তাদের ১৯ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩০০ রানের কোটা পার করেছে স্বাগতিকরা। প্রথমদিন অবশ্য দিনের নির্ধারিত ৯০ ওভার খেলা মাঠে গড়ায়নি। আলোকস্বল্পতার কারণে ৮৫ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল নতুন দিনে সেই ইনিংস আরেকটু লম্বা করবেন দুজনে। কিন্তু শরীফুলের আউটে বাংলাদেশ থেমেছে আগের দিনের রেখে যাওয়া সংগ্রহে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে জয়ের ব্যাট থেকে। ৮৬ রানে ফিরে গিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন মুমিনুল হক এবং নাজমুল শান্ত। তাইজুল ইসলাম ছাড়া প্রত্যেকেই ডাবল ডিজিটের রান করেছেন। কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন পার্ট-টাইমার গ্লেন ফিলিপস। দুটি করে উইকেট কাইল জেমিসন এবং এজাজ প্যাটেলের। একটি করে উইকেটের ভাগিদার ইশ সোধি এবং টিম সাউদি।