দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টার বিপর্যয় কাটিয়ে সিলেটের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। একই সাথে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে সিলেটের জনজীবন।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) রাত ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। এরই মধ্যে আলোকিত হয়ে উঠেছে বেশিরভাগ এলাকা। এছাড়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকাতেও বিদ্যুৎ চলে এসেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে কাজ করছেন তারা। এরই মধ্যে কাজের বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। জাতীয় গ্রিডের সাথে সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এরিয়াভিত্তিক সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তার এমন আশার বাণীর কিছুসময় পরই সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুয়েক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার খবর আসতে শুরু করে।
এদিকে সিলেটের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কিছুসময় পর থেকে ফের বিদ্যুতের আসা-যাওয়া শুরু হয়। এ নিয়ে ফের শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এ ব্যাপারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম জানান, গ্রিডের সমস্যা আপাতত সমাধান হয়েছে। এখন যা হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক লোডশেডিং, যা স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
এর আগে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে সিলেট বিভাগসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।
এ অবস্থায় জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শামীম হাসান।
বিকেলের দিকে তিনি জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টা ৫ মিনিটে এ বিপর্যয় ঘটে। ফলে সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বড় অংশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। বেলা ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সময়ে যমুনা নদীর পাড় থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা গেছে। বাকি অংশে কাজে চলছে।
এদিকে জাতীয় গ্রিডের ট্রান্সমিশন-১ এ সমস্যা দেখা দেওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সিলেট। বেলা দুইটা থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বড় ধরণের দুর্ভোগে পড়ে সিলেটবাসী। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ে এমন দুর্ভোগ। রাত ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সিলেটবাসি।