উইমেন্স মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার বলেছেন, একুশ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার, অধিকার আদায়ের প্রেরণা; একুশ আমাদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার শক্তি। এজন্য একুশের বিভিন্ন আচার পালনের সাথে সাথে আমাদেরকে জানতে হবে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস। ‘৫২র ভাষা আন্দোলনে যেভাবে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছিল- ঠিক একইভাবে তোমাদেরকে আগামীর সোনার বাংলা গড়তে নেতৃত্ব দিতে হবে। উইমেন্স মডেল কলেজ তার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক বইপত্র পড়তে পাঠাগারের ব্যবস্থা রেখেছে।
মঙ্গলবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) কলেজে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় উইমেন্স মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হয় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন আয়োজন। শুরুতেই অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদারের নেতৃত্বে শিক্ষকবৃন্দ সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল শাখা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণী।
উইমেন্স মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উইমেন্স মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউএমসির চিফ একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর মাসুদ চৌধুরী, স্কুল ইনচার্জ ও সিনিয়র প্রভাষক মরিয়মুন্নেছা মল্লিকা এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিরা আক্তার শাহি এবং মাহাবুবা আক্তার তন্বী। শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ইয়াসমিন খানম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হেলাল হামাম। এরপর সভাপতির বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার।
সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দ চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি) প্রথম স্থান অর্জন করে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমা আক্তার, দ্বিতীয় স্থান ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইজা আক্তার সাউদা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া হোসেন উর্মি।
খ গ্রুপে (৯ম-১০ম শ্রেণি) প্রথম স্থান অধিকার করে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া হক এশা, ২য় স্থান অর্জন করে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী আক্তার বেলী এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহা আফরিন।
চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে ছিলেন উইমেন্স মডেল কলেজের স্কুল ইনচার্জ ও সিনিয়র প্রভাষক জনাব মরিয়মুন্নেছা মল্লিকা, সিনিয়র প্রভাষক মৌসুমি আক্তার খানম এবং স্কুল কো-অর্ডিনেটর শিল্পী বিশ্বাস।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ক গ্রুপে (স্কুল শাখা) যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানিয়া আহমেদ নীলা এবং ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিজা জামান নোহা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম ইউশা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহা আফরিন।
খ গ্রুপে (কলেজ) প্রথম স্থান অর্জন করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহাবুবা আক্তার তন্বী, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা তাবাসসুম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহ শুকরিয়া আকবর সুখী।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন উইমেন্স মডেল কলেজের সিনিয়র প্রভাষক স্নিগ্ধা চক্রবর্তী, প্রভাষক সাজ্জাদুর রহমান এবং প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম রাসেল।