‘সিলটি পাঞ্চায়িত’ নামে রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

সিলেট বিভাগকে স্বায়ত্বশাসনের দাবিসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে আত্মপ্রকাশ করেছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ‘সিলটি পাঞ্চায়িত’। সংগঠনটি সিলেট বিভাগের মধ্যে তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের আত্মপ্রকাশ করা হয়।

‘সিলটি পাঞ্চায়িত’ কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে কমিটির নাম ঘোষণা করে বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান। নাসির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বৃহত্তর সিলেট ছাত্রফ্রন্টের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন।

৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অ্যাডভোকেট তাজরীহান জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মখলিছুর রহমান ও নূর আহমদ রিপন, প্রচার সম্পাদক কামাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারিস আলী মামুন, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন বাচ্চু ও অ্যাডভোকেট শাহানা সুলতানা চৌধুরীকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাখা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি জানান, দেশের মধ্যে একমাত্র সিলেটের আলাদা ভাষা ও অক্ষর রয়েছে। এ ভাষা চর্চার জন্য প্রাইমারি স্কুলে নাগরি ভাষার অক্ষর শিক্ষা প্রয়োজন। এছাড়া সিলেট বিভাগের লোকজনকে সিলেটে চাকরি, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের সন্তানদের ভিসা ছাড়া দেশে ভ্রমণ, সিলেটের গ্যাস সিলেটের চাহিদার পর অন্যত্র সংযোগ, খাস জমি ভূমিহীন স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রদান, বিভাগকে বন্যার হাত থেকে রক্ষায় মাস্টার প্ল্যান, সিলেটে হাইকোর্টের ব্যঞ্চ পূনর্বহাল, সিলেটে হাওর উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন ও সিলেট বিভাগকে স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন সংগঠনের সভাপতি।

নাসির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী জানান, ভারত ও ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে স্বায়ত্বশাসন পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধান সংশোধন করে সিলেট বিভাগেও স্বায়ত্বশাসন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান সিলেটবাসীর।

সিলটি পাঞ্চায়িত কমিটি সিলেট বিভাগেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে এ অঞ্চলের দাবিধাওয়া নিয়ে মাঠে কাজ করবে সংগঠনটি। দেশের অন্যান্য বিভাগে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও সিলেটে হয়নি। দলটি স্থানীয় স্বার্থে নির্বাচন করার কথাও জানান সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাজরীহান জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছাড়া সদস্য শাখাওয়াত আলী শাহী উপস্থিত ছিলেন।