সিরিয়ায় বাস্তুচ্যুত ৫৩ লাখ মানুষ

গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সিরিয়া প্রতিনিধি শিভাংকা ধানপালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে সিরিয়ায় অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব মানুষের এখন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আগে থেকেই বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আছে। এই ভূমিকম্প বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে।

অর্থনৈতিক সংকট, করোনা মহামারি, তীব্র শীতসহ নানা কারণে এমনিতেই সিরিয়া মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে এই ভূমিকম্প দেশটিকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিভাংকা ধানপালা।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থীশিবিরে জীবন যাপন করছে। সেসব শিবিরে এখন ভূমিকম্পে বাস্তুহারা মানুষ ভিড় করছে।

গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০ পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে পরাঘাতের মাত্রা ছিল ৪ বা তার চেয়ে একটু বেশি।

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ৭১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহত হয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জন। অন্যদিকে সিরিয়ার নিহত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ জন।