২০০৫ সালের দেশব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক সিরিজ বোমা হামলা দিবসের প্রতিবাদে বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে কালেক্টর জামে মসজিদের সম্মুখে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ থেকে ১৮ বছর পূর্বে এই দিনে সিরিজ বোমা হামলা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। শুধু নেত্রীর ওপর বোমা হামলা নয় সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় বোমা হামলা করা হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীরা জখম হয়েছিলেন। তবে বোমা মেরেও তারা সফল হতে পারেনি। তারা পরাজিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ-কে বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। ৫১ বছর পূর্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে গেছে। সারা বিশ্বে দেশের উন্নয়নের সুনাম হয়েছে। বোমা হামলা আর ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক আমাদেরকে তা প্রতিহত করতে হবে। আপনারা নেতা-কর্মীরা সবসময় সজাগ থাকবেন। যেখানেই বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে সেখানেই প্রতিহত করবেন। কোনোভাবেই তাদেরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আমাদেরকে স্বাধীনতার সম্মান ধরে রাখতে হবে। তিনি মানববন্ধনে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মো: সানাওর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা: আরমান আহমদ শিপলু।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত।
মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশ দাস মিঠু, মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া ইকবালসহ বিভিন্ন ওয়ার্ নেতৃবৃন্দ।