সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কানরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) এ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ওপেনার লিটন দাসের জায়গায় এসেছেন এনামুল হক বিজয়। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ইনজুরির খবরে দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজ। আর দুই ম্যাচে ব্যর্থতার কারণে বাদ পড়েছেন তাইজুল ইসলাম। তার পরিবর্তে দলে ঠাঁই পেয়েছেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের জোড়া আঘাতে ব্যাকফুটে চলে যায় লঙ্কানরা। শরীফুলের প্রথম ওভারে ভুগতে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান তাসকিন আহমেদ। মাত্র ১ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন প্রথম ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান।

এক ওভার পর ফের তাসকিনের আঘাত। আভিস্কা ফার্নান্দোকে দারুন আউট সুইংয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন। ব্যক্তিগত ৪ রানে ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো।

১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে সামারাবিক্রমা ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। এই ইনফর্ম ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিরিজের প্রথমবার ম্যাচ খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। দলীয় রান তখন তিন উইকেটে ৪১।

এরপর কুশল মেন্ডিসের সাথে ইনিংস মেরামত করতে নামেন চারিথ আসালঙ্কা। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি।

তাইজুলের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েই বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেন রিশাদ হোসেন। নিজের প্রথম বলেই ফেরান উইকেটে সেট হওয়া কুশল মেন্ডিসকে। তার করা প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে খোঁচা দিয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ২৯ রান করা মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক উইকেট পেলেন রিশাদ। এর আগে আরও দুই ওয়ানডে খেললেও ছিলেন উইকেট শূন্য।

টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে আরও একবার দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন চারিথ আসালঙ্কা। ইনফর্ম এই ব্যাটার দেখে-শুনে খেলে উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫তম ওভার মুস্তাফিজের ব্যাক অব লেংথের বলে কাট করতে গিয়ে আউট সাইড এডজে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৩৭ রান করেছেন তিনি।

সাতে নেমে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ দুনিথ ভেল্লালেগে। ৩১তম ওভারে মিরাজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন ভেল্লালেগে।

৩৫তম ওভারে আবারও মিরাজের আঘাত। সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ১১ রান।

তবে লিয়ানাগের অপরাজিত ১০১ রানে শ্রীলঙ্কান সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৫ রান। ১৫৪ রানে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে মাহিশ থিকশানাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন লিয়ানাগে। থিকশানা ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। থিকশানা ফিরলেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিয়ানাগে। ১০১ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০২ বলে ১০১ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।