অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেবেন জনপ্রিয় দক্ষিণি তারকা থালাপতি বিজয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে সে গুঞ্জনের পালে নিজেই হাওয়া দিয়েছেন। অবশেষে দিলেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজের দলের নাম ঘোষণা করেন তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের দলের নাম নথিভুক্ত করানোর কাজও অনেকদূর সেরে ফেলেছেন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে থালাপতি বিজয় জানান, তার রাজনৈতিক দলের নাম হবে তামিজহাগা ভেট্রি কাজগাম। যার আক্ষরিক অর্থ তামিলনাড়ু ভিক্টর পার্টি। আগামী ২০২৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য এবং নির্বাচনে জিতে স্থানীয় মানুষদের দাবিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন থালাপতি।
এর আগেও দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে অনেকেই চলচ্চিত্রের দুনিয়া থেকে রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছেন। এই ঘটনার সর্বপ্রথম দৃষ্টান্ত জয়ললিতা। তারপর কমল হাসান, রজনীকান্তসহ অনেকেই। তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চেন্নাইয়ে সাংগঠনিক পরিবর্তন আনতে চান বিজয়।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ার আগে বিজয়ের দলে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে প্রায় ২০০ সদস্য হাজির ছিলেন। তার দলের সভাপতি হয়েছেন বিজয় নিজেই। ইতোমধ্যেই দলের সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষও নিয়োগ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিও। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয় কোনও দলকে সমর্থনও করবেন না এবং নির্বাচনে অংশও নেবেন না বলেই জানিয়েছেন।
রাজনীতিতে পাকাপাকিভাবে আসার আগেই নানাভাবে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন থালাপতি বিজয়। দুঃস্থ মানুষদের খাবার বিতরণ, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ দেওয়া, বিনামূল্যে আইনি সহায়তাসহ নানা সেবামূলক কাজে মন দিয়েছেন তিনি।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিজয় এবং তার বাবা এসএ চন্দ্রশেখর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন নানা মাধ্যমে। ২০১১ সালে আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন বিজয়। তিনি নিজেও সেসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এমনকি ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারেও কিছুসময় অংশ নিয়েছিলেন থালাপতি বিজয়।