নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪’। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ ভবন-২ এর সামনে থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ নেন।
র্যালি শেষে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি/ ডিমে আছে রোগ মুক্তি’ নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ.এস.এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সিলেটের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে একজন সুস্থ্য মানুষের সহজলভ্য পুষ্টিমানের সুপার ফুড হিসেবে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
সিকৃবি ভিসি আরও বলেন, ডিম এমন একটি খাবার যার মাধ্যমে মানব দেহে সকল প্রকার পুষ্টি ও ভিটামিনের অভাব দূর হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত এবং বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিভাগের প্রফেসর ড. শাহ আহমেদ বেলাল।
সেমিনার শেষে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার ক্রেস্ট প্রদান এবং পোল্ট্রি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য একজন খামারী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তাকে পোল্ট্রি শিল্প উন্নয়ন সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
এর আগে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলুরতল বাগমারা মহল্লায় সফিক-রফিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ডিম খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।