সিকৃবিতে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৩০ শতাংশ পরীক্ষার্থী

দেশের অন্যতম ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠ সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এই ভর্তি পরীক্ষা।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান খান নিশ্চিত করেন, ‘সিকৃবিতে এবছর ৪ হাজার ২০০ জন জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। যার মধ্যে শনিবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২ হাজার ৯৬০ জন উপস্থিত ছিল। উপস্থিতির হার প্রায় ৭০.৪৮ শতাংশ। তাছাড়া দেশের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও উপস্থিতির হার আশানুরূপই ছিলো।’

ভর্তি কমিটির সভাপতি ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দীন ভুঞা বলেন, ‘দেশের সকল কেন্দ্রেই অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন পরীক্ষার্থী অসাদুপায় পন্থা অবলম্বন করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তৎক্ষনাৎ তার বিরূদ্ধে যথাযথ আইনিপদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া সকল কেন্দ্রেই পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সুন্দর ছিলো।’

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভোর থেকেই সিকৃবি ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অভিবাবকসহ সিকৃবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন।

পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেছেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দীন ভুঞা। তার সঙ্গে পরিদর্শনে ছিলেন, সিকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক এবং জীবপ্রযুক্তি ও জীবপ্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, প্রক্টর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহ আলমগীর, রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘এবারের প্রশ্নপত্রের গুণগত মান ভালো হয়েছে। আগে কৃষিতে সবসময় প্রশ্নপত্র ব্যাখ্যা মূলক বা মেডিকেলের মত হতো কিন্তু এবার ব্যাখ্যামূলক কম ছিল, যেমনটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দেখেছি। প্রায় সবারই প্রত্যাশা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের একটা সীট নিশ্চিত করে নেয়ার।’