সারের মূল্যবৃদ্ধিতে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে : বাসদ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টায় সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের নয়াবাজারে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্থানীয় কৃষক ফ্রন্ট নেতা নুরুল ইসলামে সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক নিখিল দাশ, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ, বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, প্রণব জ্যোতি পাল, চালক সংগ্রাম পরিষদ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমদ, সংগঠক আনোয়ার হোসেন, কুটি মিয়া প্রমুখ।

সার ও বীজ বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ভুল তথ্য দিয়ে এবং ইউরিয়া সারের যৌক্তিক ব্যবহারের কথা বলে সরকার ১ আগস্ট ২০২২ থেকে ইউরিয়া সার কেজিপ্রতি ৬ টাকা বা ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা অর্থাৎ ৩৮% দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের উভয় যুক্তিই হাস্যকর, মিথ্যা বানোয়াট। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম এখন কমছে। এপ্রিল মাসে যেখানে ১ টন ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৯২৫ মার্কিন ডলার, জুন মাসে তা কমে হয়েছে ৬৯২ ডলার। তাছাড়া কৃষক ইউরিয়া বেশি ব্যবহার করে জমির উর্বরতা নষ্ট করছে ফলে যৌক্তিক ব্যবহারের কথা বলছে, অথচ কৃষি মন্ত্রণালয় ও সরকার কৃষককে সচেতন করার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তাহলে যৌক্তিক ব্যবহার কি দাম বাড়িয়ে করা যাবে? এটা সরকারের ভুল নীতি। কারণ দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সরকার ৫৩% মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। সারের দাম বাড়ানোর এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে কৃষি উৎপাদন কমে যাবে এবং আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্রেও পড়বে। এমনিতেই সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে কৃষি ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আবার কৃষকরা কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম না পেয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রাস্তায় ফেলে দিতে এমনকি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে নতুন করে সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের ওপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ এর সামিল।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সার ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।