সাবেক অর্থমন্ত্রীকে ‘হত্যাচেষ্টা’, বিএনপি নেতা জি কে গউছ রিমান্ডে

প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০-এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান জানান, জি কে গউছ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর আদালত এলাকা থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।

পরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন কর্মকর্তা জি কে গউছকে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।