চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী ও নায়ক জায়েদ খান দ্বন্দ্ব নিয়ে সরগরম ঢালিউড পাড়া। চড় ও পিস্তলকাণ্ডের পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওমর সানী।
এখন অনেকেই জানতে চান, আসলে কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করা এই সমিতি?
সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তিনি একা কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। শিগগিরই মিটিংয়ে এটি নিয়ে কথা হবে।
কাঞ্চনের ভাষ্য, ‘সানীর অভিযোগের চিঠি হাতে পেয়েছি। আগামী সভায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে কথা হবে। সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্যরা মিলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’
বহু নন্দিত ছবির নায়ক ও সংগঠক ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে নানা রকমের চিঠি আসে। সেগুলো আমরা জমা রাখি। প্রতি মাসের যে মিটিং হয়, সেগুলোতে গুরুত্ব অনুযায়ী সামনে আনা হয়। সানীর এই অভিযোগের চিঠি নিয়েও সেভাবেই কথা বলা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সভায় বসার চেষ্টা করবো।’
সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্রপাত মুভিলর্ড-খ্যাত অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ওমর সানী সপাটে চড় মারেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে।
শনিবার (১১ জুন) রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পরদিন (১২ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন ওমর সানী।
সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্রে ওমর সানী বলেন, ‘আমি ওমর সানী এই সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সমিতির সদস্য জায়েদ খান গত চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয় করার চেষ্টা করে আসছে।’
কিন্তু গতকাল (১৩ জুন) মৌসুমী দাবি করেন, জায়েদ খান তাকে সম্মান করেন এবং তিনি বেশ ভালো মানুষ। বিরক্ত বা উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেনি। এটা সানী ও মৌসুমীর ব্যক্তিগত বিষয়।