‘সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

ব্রিটেনে প্রথম বসতি স্থাপনকারী সিলেটিদের গল্প ‘সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ক্যারোলাইন অ্যাডামস সম্পাদিত Acroos Seven Seas and Thirteen Rivers বইয়ের অনুবাদ এটি। বইয়ের অনুবাদ করেন লেখক আমিরুল হক বাবলু।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ বাতিঘরে বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও গবেষক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।

বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান চৈতন্যের আয়োজনে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন লেখক ও গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী ও কবি ও গবেষক ড. মোস্তাক আহমদ দীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন চৈতন্য প্রকাশনের প্রকাশক রাজীব চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নজমুল হক, আক্তার কামাল, মঞ্জুর চৌধুরী, মোক্তাদির আহমদ মুক্তা প্রমুখ।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, এই বইটিতে আছে ব্রিটেনে প্রথম বসতি স্থাপনকারী সিলেটি জাহাজিদের জীবনের সংগ্রাম এবং দুঃসাহসিকতার কথা। এটি শুধু বই নয়, একটি ইতিহাসের দলিল সরূপ। এই বইতে ইউরোপে বাংলাদেশী তথা সিলেটিদের জীবনযুদ্ধের গল্পগুলো সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর তরুণরা এই বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন কতটা কঠিন ছিল প্রথম বসতি স্থাপনকারীদের জীবন। বইটি বাংলায় রূপান্তর হওয়াতে অনেক ভাল হয়েছে। সবাই এই ইতিহাস পড়ার সুযোগ পাবে।

‘সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে’ গ্রন্থের অনুবাদক লেখক আমিরুল হক বাবলু বলেন, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার বাইরে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশীদের বসবাস। আর এই ব্রিটেনে সিলেটিদের সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। Acros Seven Seas And Thirteen Rivers গ্রন্থে ক্যারোলাইন অ্যাডামস তুলে ধরেছেন ব্রিটেনে প্রথম দিকে বসতি-স্থাপনকারী সিলেটিদের গল্প।

তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনে আমাদের সিলেটিদের ইতিহাস প্রায় দুশো বছরেরও বেশি। সিলেটের সৈদ আলী প্রথম ব্রিটেনে এসেছিলেন ১৮০৯ সালে। বইটিতে লেখিকা মূলত ২০, ৩০ ও ৪০ দশকে যারা যারা ব্রিটেনে অভিবাসন স্থাপন করেছিলেন তাদের সময় থেকে ধরে লিখেছেন। এই বইটি লিখতে গিয়ে লেখিকা তথ্যের জন্য অনেক দিন সিলেট ও আসাম থেকেছেন। ১৯৮৭ সালে ব্রিটেনে বইটি প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বইটি বাজারে নেই। বইটি পড়ে আমার মনে হল সত্যিই এই বইটি আমাদের সিলেটিদের বিলেতের ইতিহাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাই বইটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমার এই অনুবাদের চেষ্টা। আমি অনুবাদক নই, তবুও চেষ্টা করেছি ইতিহাসের এই দলিলটাকে সহজভাবে সবার জন্য উপস্থাপন করতে।’