নিজের অভিষেক ম্যাচেই রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের তরুণ তুর্কী তৌহিদ হৃদয়। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার।
হৃদয়-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে সিলেটে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছে এদিন টাইগাররা।
শুরুতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সাকিব। আর অভিষক্ত হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৯২ রান।
শনিবার (১৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। ব্যক্তিগত ৩ রানেই বিদায় নেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর শুরুর সেই চাপ সামলে নেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ৪৯ রানের সময় ব্যক্তিগত ২৬ রান করে ফিরে যান লিটন।
এরপর দলেকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন সাকিব আল হাসান সঙ্গে থাকেন শান্ত। তবে বেশিদূর এই জুটি এগোতে পারেনি। দলীয় ৮১ রানে শান্ত সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৫ রান করে। তখনও অপরপ্রান্তে অবিচল ব্যাট হাতে সাকিব। এরপর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে নিয়ে গড়েন বড় জুটি। এদিনই সাকিব ওয়ানডেতে নিজের ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত হৃদয়ও দারুণ খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। যদিও দুজনের সামনেই সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও কেউই পারেননি ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে। ৯৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব। এই অলরাউন্ডারের বিদায়ের পরই মারমুখী হতে থাকেন হৃদয়।
অন্যপ্রান্তে মুশফিুকর রহিম খেলেন টর্নেডো এক ইনিংস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান অভিজ্ঞ এই টাইগার ক্রিকেটার। যদিও শেষ পর্যন্ত অর্ধ-শতক তোলার আগেই বিদায় নেন মুশফিক। ২৫ বলে ৪১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
তখনও ব্যাট হাতে লড়ছিলেন হৃদয়। তবে অভিষেকে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তা আর পাওয়া হল না। নেহায়েত কপাল মন্দ! শেষপর্যন্ত ৯২ রানে বোল্ড হয়েই থেমে যায় হৃদয়ের ইনিংস, দলের রান তখন ২৯৭। এরপর দলের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলি রাব্বি। যদিও অন্যপ্রান্তে তাসিকন আহমেদ ফিরে যান ১১ রান।
এরপর রান আউটে কাটা পড়ে রাব্বি ফেরেন ১৭ রান করে। নাসুম আহমেদ থাকেন ১১ রানে অপরাজিত। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তামিম ইকবালের দল সংগ্রহ করে ৩৩৮ রান। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন গ্রাহাম হিউম।