সহস্রাধিক বন্যার্তদের খাদ্য দিল সিলেট শিক্ষাবোর্ড

সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার বন্যাদুর্গতদের খাদ্য দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সিলেট। বন্যা কবলিত হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কেউ খাদ্য বা ত্রাণ না দিলেও মঙ্গলবার সেখানে খাদ্য পৌঁছে দেয় শিক্ষাবোর্ড সিলেটের পরিবার। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রামপুর, উজিরপুর, উদয়পুর, সিলেট সদরের টুকেরগাঁও, মাধবপুর ও বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, লামাকাজি এবং ওই এলাকার দুটি আশ্রয়ন প্রকল্পে বন্যা দুর্গতদেও মাঝে সহস্রাধিক প্যাকেট খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির বোতল বিতরণ করা হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রত্যান্ত এলাকায় ত্রাণ পেয়ে খুশি ওই এলাকার বন্যার্তরা। কয়েকটি স্থানে শতশত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহন করেন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকারের নেতৃত্বে সিলেট থেকে একটি কার্গো নৌকায় করে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ ও আলুর সমন্বয়ে এক হাজার ২০ প্যাকেট খাবার, ২ লিটার করে পানির বোতল ও শিশুদের জন্য বিস্কুট নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় যান বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে ও আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।

ত্রাণ বিতরণ শেষে ড. রমা বিজয় সরকার জানিয়েছেন, সিলেটের বন্যার্তদের অবস্থা দেখে আমরা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় খাদ্য পৌঁছে দেই। বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও বিস্কুট দেওয়া হয়েছে। কষ্ট হলেও সকল সহকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে খাদ্য প্রদান করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আসলে গ্রামে প্রবেশ না করলে তাদের দু:খ বুঝা যায় না। তাদের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও বিস্কুট। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব কবির আহমদ, কলেজ পরিদর্শক ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নিহার কান্তি রায়, সহকারি কলেজ পরিদর্শক আবুল কালাম, স্কুল পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সহকারি স্কুল পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ড এ¤øয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি নিরঞ্জন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।