সহস্রাধিক পানিবন্দি মানুষকে খাবার দিল বাসদ

বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সিলেটের সহস্রাধিক পানিবন্দি মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের বাগজুর গ্রাম, সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের জলমগ্ন দাওয়াদাকান্দি গ্রাম এবং নগরীর খুলিয়াটুলা, ভার্থখলা ও শেখঘাট এলাকায় এসব খাবার বিতরণ করা হয়।

বিভিন্ন টিমে খাবার বিরতণকালে উপস্থিত ছিলেন, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মোস্তাক আহমেদ,সামাদ আহমেদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার আহ্বায়ক মুখলেছুর রহমান, সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্র, বীরেন সিং, হৃদয় লোহার, রাজন ঘোষ, আঙ্গুর মিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস, মিসবা খান, সুরাইয়া পারভীন আখিঁ, দোয়েল রায়, নাহিদ, রোখসান, রিম্মি, সর্বজয়া প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন জলমগ্ন গ্রামে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখি বন্যার্ত মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। কাঁচা ঘরগুলো ভেঙে গেছে। সরকারি ত্রাণ এখনও মানুষের মধ্যে পৌঁছায়নি। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বন্যার ভয়াবহতার কারণে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। অথচ বাস্তবতা হলো সরকার কারও কোনো মতামত নিচ্ছে না। এরকম দুর্যোগ মুহূর্তে সদিচ্ছা থাকলে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে খুব সহজেই মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব। কিন্তু সরকার তা করছে না। উপরন্তু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গড় বরাদ্দ মাত্র ৪০০ গ্রাম চাল ও ৬ টাকা। এটি জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কী হতে পারে?

তারা দাবি করেন, অবিলম্বে পর্যাপ্ত ত্রাণ, চিকিৎসা, শিশুখাদ্য বিপন্ন মানুষের মাঝে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পৌঁছে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এনজিও ও কৃষি ঋণের কিস্তি বন্ধের নির্দেশ ও মওকুফ করার দাবি জানান তারা।

একই সাথে নেতৃবৃন্দ বলেন, সকলের আর্থিক সহযোগিতা ও শ্রমের ভিত্তিতে বাসদ (মার্কসবাদী) গত ৭ দিন ধরে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শহরতলীর সোনাতলা বাজারের তাহের কমিউনিটি সেন্টার থেকে নিয়মিত রান্না করা খাবার সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে প্রতিদিন দেয়া হবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকলে সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা ইতোমধ্যে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিননন্দ জানান তারা।