শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দুই জনেই বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার শ্রেণিকক্ষে নিজের ব্যাগসহ আরো দুইটি ব্যাগ ধূলাবালি মাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এই কাজের পেছনে কে রয়েছে, জিজ্ঞেস করলে কারও কোনো সদুত্তর পাননি তিনি। তবে পরবর্তীতে ক্লাস শেষ হলে মো. গুলশান আহমেদ ভুক্তভোগীকে পেছন থেকে হঠাৎ আক্রমণ করেন। এসময় গুলশান আহমেদ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ঘাড়ে চেপে ধরে চোখ থেকে চশমা খুলে ভেঙে ফেলেন এবং ঘাড়, মাথা ও কাঁধের বেশ কয়েক জায়গায় এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকেন।
আক্রমণকালে গুলশানের হাতে ধাতব কোনো বস্তু ছিল বলে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্রে লিখেন, তার হাতে থাকা কোনো ধাতব বস্তুতে আমার গলার নিচের অংশ কেঁটে যায়। পরে সহপাঠীদের সহযোগিতায় তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে পরের দিন ক্যাম্পাসে ফিরে এসে অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান আহমেদ বলেন, ‘তার সাথে আমার ঝগড়া হয়। এসময় ভুলক্রমে আমি তাকে আঘাত করে ফেলি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’