ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ১৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলার পর এবার টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গাজার বিভিন্ন অবস্থান থেকে রকেটে হামলা শুরু করে হামাস। পরে বিমান হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েলও।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার শাসক দল হামাসের রকেট ছোড়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণা করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। গাজার শাসকদের কী মূল্য দিতে হবে তা তাদের জানা নেই।’
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিএনএন বলছে, গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৯৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬১০ জন। তবে কীভাবে এবং কোথায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৮০০ মানুষ।
ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরুর পর সেনাবাহিনী জানায়, বেশ কিছু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আরও জানায়, গাজা উপত্যকা সংলগ্ন ইসরায়েলের এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা শত্রুকে সতর্ক করেছি। দখলদাররা (ফিলিস্তিনের) বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে শত শত নির্বিচার হত্যা চালিয়েছে। দখলদারদের অপরাধের কারণে এ বছর শত শত শহীদ হয়েছেন এবং আহতরা প্রাণ হারিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ (অভিযান আল-আকসা বন্যা) নামের অভিযান ঘোষণা করছি এবং আমরা শুরুতে আঘাতের ঘোষণা করছি, যা শত্রুর অবস্থান, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে; ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।”