সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে নিয়ে গেছে : মুক্তাদির

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামী লীগ শুধু ব্যাংক ডাকাতি আর বিভিন্নস্থরের দুর্নীতি করে সরকার গঠন করে নি, জনগণের আমানত ভোট ডাকাতি করে সরকার গঠন করেছে। দেশবাসী এই অবৈধ ক্ষমতাসীন দলের ভোট বর্জনের মাধ্যেমে তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে।

বর্তমান সরকার ‘ভোট ডাকাতি’ করেছে উল্লেখ করে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, এ সরকার ডাকাতদের সরকার। ওরা নিজেরাই ডাকাত, ভোট ডাকাতি করেছে। সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে নিয়ে গেছে। এখন আবার বলছে, ভোট ভালো হয়েছে।

বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু পূর্বে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রী বলেছেন সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেবো। শীঘ্রই দ্রব্যমূল্য কমাবে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের নেতৃত্বে পর্যাক্রমে সিন্ডিকেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব জিনিসের দাম পর্যাক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাকা নেই সরকারের কাছে। এটা কোন দেশ, এটা কোন ব্যাংক, এটা কোন অর্থনীতি? এই সরকারের জালিয়াতির বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ এখন স্বোচ্ছার।

নগরীর জেল রোড এলাকায় গিয়ে মহানগর বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। সরকার জুলুম নির্যাতন করে ঠিকে থাকতে পারবেনা। সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে এই জুলুমবাজ ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবন্ধ ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক সামিয়া বেগম, ডা. নাজমুল হোসেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে আফজাল উদ্দিন, শেখ কবির আহমদ, আব্দুল হাকিম, খায়রুল ইসলাম খায়ের, সুয়াইব আহমদ সোয়েব, মো. লুৎফুর রহমান মোহন, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, সবুর আহমদ খান, আমিনুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রোজি, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সাব্বির আহমদ, আব্দুল মালিক সেকু, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, রাসেল খান, আব্দুল মান্নান, শাহিদুল ইসলাম কাদির, নজরুল ইসলাম, সুহেল মাহমুদ, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, এমদাদুল হক স্বপন, কয়েস আহমদ, জিএম বাপ্পি, দুলাল আহমদ, মির্জা জাহেদ, আবু হানিফ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ জুবের, রেহানা ফারুক শিরিন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মো. জাকির হোসেন, ছালেক আহমদ, মো. রায়হান, হারুনুর রশিদ, নুর মো. খাঁন তাইফুর, আবু বক্কর সিদ্দিকী, নাজমিন বেগম, সজিব রহমান রুবেল, শাহেদ আহমদ দিপক, রফিকুল ইসলাম রফিক, আফজাল উদ্দিন, মেহেরাজ ভুইয়া পলাশ, নাইহান আহমদ রিপন, সামাদ হোসেন, শামীম আহমদ চৌধুরী, জিয়াউল রহমান জিবাব, মো. সালাউদ্দিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।