সরকার জনগণকে নিয়ে উপহাস করছে, শোকের মাসে উৎসব : আলাল

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব, `যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আগস্ট মাস নাকি আওয়ামী লীগের কাছে শোকের মাস। আবার নিজেরাই বিভিন্ন দিবস পালন করতে গিয়ে শোকের মাসকে উৎসবের মাসে পরিণত করেছে। তারা জনগণের সাথে তামাশা করতে গিয়ে নিজেরাই পরিণত হয়েছে উপহাসের পাত্রে। জনগণের সাথে প্রতারণা করা, জনগণকে বোকা বানানো আওয়ামী লীগের চিরাচরিত অভ্যাস। কিন্তু সেই দিন আর নেই। জনগণ বেহেশতে আছে বলে তামাশা করবেন, তাদের দারিদ্রতা নিয়ে কৌতুক করবেন আর দেশের সাধারণ মানুষ আঙুল চুষবে, সেই দিন এখন রূপকথার গল্প। মানুষ এখন দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা-হাহাকার। জ্বালানি খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারসাজি। ব্যাংকিং খাতে প্রকাশ্যে লুটপাট, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেও তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে। কারণ জনগণের নিকট তাদের জবাবদিহি করতে হয়না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত। তাই তারা জনগণকে পরোয়া করেনা। আবার একই সময়ে ভূমি মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, পুলিশ নগ্ন ভাবে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা না করলে এতদিনে সরকার ভঙ্গুর দলে পরিণত হতো।’

তিনি আওয়ামী লীগকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে নীলনকশার নির্বাচনের পায়তারা থেকে দূরে সরে আসেন, না হয় জনগণ আপনাদের উলঙ্গ করতেও দ্বিধা বোধ করবেনা।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেট নগরীর ভাতালিয়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্বালানি খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি, অব্যাহত লোডশেডিং ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের নিহত ও আহত করার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর বিএনপির ১১নং ওয়ার্ড আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

১১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক খসরুজ্জামান খসরুর সভাপতিত্বে এবং শেখ কবির আহমদ, অর্জুন ঘোষ ও মালেক আহমদের যৌথ পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার প্রতিনিয়ত গর্বের সাথে বলে আসছে তারা বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে ২২ হাজার মেগাওয়াট। অথচ দেশের প্রতিটি খাতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করলে খরচ হয় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তাহলে কেন বিদ্যুৎ খাতে এই বিপর্যয়। তারা দেশের প্রতিটি খাতকে করেছে ধ্বংস, করেছে বিতর্কিত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তিতে কালেমা লেপন করেছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। পুলিশকেও যাচ্ছে তা ব্যবহার করছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে। আসতে পারে যেকোনো দুঃসংবাদ। যা দেশের জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবেনা। আমি আপনাদের মঙ্গলের জন্য উদ্বার্থ আহ্বান জানাই, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন-পিঠের চামড়া বাঁচান।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, নজীবুর রহমান নজীব, সদস্য জিয়াউল হক জিয়া, সদস্য মাহবুব কাদির শাহী, মুকুল আহমদ মোর্শেদ, আক্তার রশীদ, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, আনোয়ার হোসেন মানিক, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আজিজ হোসেন আজিজ, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা ডেইজি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর জাসাসের আহবায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন জীবন প্রমুখ।