যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশের তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারে না। তাই এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকেলে আগামী ৯ জুলাই সিলেটে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। তারা সিন্ডিকেট করে দেশের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করে লুটপাট করছে। সর্বক্ষেত্রে লাগামহীন দলীয়করণের ফলে যোগ্যতা সত্ত্বেও মেধাবী তরুণদের সরকার চাকরি দিচ্ছে না। তাদের অপরাধ, তারা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে না। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। দেশের জনগণ এ সরকারের পতন চায়।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় অবৈধ দখলদার সরকার তাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চারদিকে গডফাদার, মাফিয়া আর সিন্ডিকেটবাজদের সুযোগ করে দিচ্ছে। যদি জনসমর্থিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো তাহলে বর্তমান খাদ্যপণ্যের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটত না। ভোটবিহীন সরকারের পতনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। দেশের মুক্তিকামী জনতা মাফিয়াদের পতনের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, এড.আশিক উদ্দিন আশুক, হাজী শাহাব উদ্দিন, মামুনুর রশীদ, লিলু মিয়া, ওহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী, নুমান উদ্দিন মুরাদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এড. আহমেদ রেজা, আব্দুল হাফিজ, জসীম উদ্দিন, এম. মুজিবুর রহমান, আলী আকবর, জসিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন সেলিম, নজরুল ইসলাম, শিব্বির আহমেদ রনী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুক, সামিয়া বেগম চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, কোহিনুর আহমদ, মকসুদ আহমদ, জসিম উদ্দিন, শফিকুর রহমান, গৌছ আলী, মোঃ মাহবুব আলম, মিজানুর রহমান রুমেল, এড. আল আসলাম মুমিন, লোকমান আহমদ, এড. মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, জালাল খান, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন পান্না, রুহেল আহমেদ চেয়ারম্যান, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, মনিরুজ্জামান উজ্জল, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন, আক্তার হোসেন রাজু, জাহেদ আহমদ, সারোয়ার হোসেন, ইন্তাজ আলী, ইসলাম উদ্দিন, সুহেল ইবনে রাজা প্রমুখ।