অগ্রগামী বালিকা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান

সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে খেলাধুলা। খেলাধুলা শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশসহ বিভিন্ন উপায়ে শিখতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। খেলাধুলা শিশুদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা বিকাশেও সহায়তা করে। সুস্থ জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষা আর খেলাধুলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাকেও খুইব গুরুত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে খেলাধুলায় এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক হেপী বেগম এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক কোহেলী রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি উপ-অঞ্চল সিলেট এর সভাপতি আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন, এসিস্ট্যান্ট কমিশনার মো. ওমর সানী, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার এবং বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাবলী পুরকায়স্থ, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির খান, বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সার্বিক সহযোগিতা করেন বার্ষিক ক্রীড়া উদযাপন পর্ষদের সম্পাদক এবং বিদ্যালয় ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. আফতাব হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেমন খুশী তেমন সাজো।