আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবার কোনো চমক থাকবে কি না, কোনো নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে একজন কাউন্সিলরও যদি তার নেতৃত্বের ব্যাপারে অনাস্থা দেখান তাহলে তিনি বিদায় নিতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
অবশ্য আওয়ামী লীগের এর আগের দুই সম্মেলনের আগেও নিজের বয়স হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নতুন কারও কাছে নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিতে পারলে তিনি খুশি হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কে থাকবে তা পুরোপুরি কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা র্যাব সৃষ্টি করেছে কে- এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, আমেরিকা র্যাবের ট্রেনিং দেয়, তারাই অস্ত্র দেয়। যেমন ট্রেনিং দিয়েছে তারা (র্যাব) তেমন করেছে। আমাদের করার কী আছে?
তিনি বলেন, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করেছি তাদের ওপরই কেন স্যাংশন? স্যাংশন দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে? সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। কথায় কথায় স্যাংশন- এটা কেমন কথা?
আমেরিকা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে না বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৪০ বছর তালেবানের সাথে যুদ্ধ করে আবার তাদের কাছেই ক্ষমতা দিয়ে চলে গেল আমেরিকা। নিজের ব্যর্থতার কথা তারা বলে না। কেউ যদি অপরাধ করলে তার বিচার হয় আমাদের দেশে। কিন্তু আমেরিকায় বিচার হয় না।
মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছে তারা স্বাধীনতার পর অনেকদিন ক্ষমতায় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার দেশেরই কিছু লোক তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কাছে বানোয়াট তথ্য দেয়। দেশের বদনাম করে। যারা এটা করে তারা কোনো না কোনো অপরাধ করে দেশ ছেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- আমরা এই নীতিতে চলতে চাই।