অতিসম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক মঞ্চায়নের পূর্বে পরিকল্পিতভাবে নাট্যকর্মীদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ও সংস্কৃতি বিরোধী সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকাল চারটায় ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন শারদা স্মৃতি ভবন (শারদা হল) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, মেধা শ্রম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।
তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাট্য শিল্পীদের সাথে পরিকল্পিত ঘটনায় সারাদেশের নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা সংক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত। তারা সংস্কৃতি বিরোধী সকল অপকর্ম ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া অবিলম্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশে সংগঠিত বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধের সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন বক্তারা।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদের পরিচালনায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা দাশ যুঁই, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক অনুপ কুমার দেব, অর্ধেন্দু কুমার দাশ, সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন দে যাদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাসিত শেরো, সাবেক সহ-সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ডা. অভিজিৎ দাস জয়, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক অপুর্ব শর্মা, আবৃত্তি শিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত,
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখলাছ আহমেদ তন্ময়, কোষাধ্যক্ষ অচিন্ত কুমার দে অমিত, নির্বাহী সদস্য তন্ময় নাথ তনু, রেজাউল করিম রাব্বি প্রমুখ।
প্রতিবাদী কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, গণসংগীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, গৌতম চক্রবর্তী, নবশিখা নাট্যদল, উদীচী সিলেট, সিতিকণ্ঠ ও থিয়েটার বাংলা।
বিকাল চারটায় শুরু হওয়া প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সিলেটের নাট্য ও সাংস্কৃতিককর্মীসহ বিপুল সংখ্যাক মানুষের উপস্থিতি ছিলো। একাধিকবার বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে নাট্যকর্মীরা অনুষ্ঠান সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চালিয়ে যান।