শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হলো সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল চারটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ’র পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, নাট্য পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাসিত শেরো, নাট্যজন উত্তম সিংহ রতন, নাট্যজন খোয়াজ রহিম সবুজ, নাট্যপরিষদের সহসভাপতি জয়শ্রী দেব জয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একলাছ আহমদ তন্ময়সহ সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে, যার নেতৃত্বে এই ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে তিনি আমাদের জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, বহু রক্তের বিনিময়ে এই অর্জনে প্রাণ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার, সম্ভ্রম হারিয়েছেন আমাদের মা-বোনেরা, তিনি এই অর্জনকে ধরে রাখতে সাংস্কৃতিক কর্মীদের অবদানকে সন্মান জানান।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামী প্রজন্মের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাংস্কৃতিক জাগরণে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সহ সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদের দুইদিনব্যাপী বিজয় উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে গ্রীণ ডিজেবল ফাউন্ডেশন, ছন্দ নৃত্যালয়, পাঠশালা, থিয়েটার মুরারীচাঁদ, চারুবাক, মুরারীচাঁদ কবিতা পরিষদ, খেলাঘর সিলেট, সিতিকণ্ঠ নৃত্যাঙ্গন, নৃত্যরথ, উদীচী সিলেট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, চিরন্তন, কথাকলি সিলেট, প্রতিবেশী নাট্যগোষ্ঠী, থিয়েটার বাংলা সিলেট, সূবর্ণযাত্রা, মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন, এমসি কলেজ।
আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।