ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। সবাই মিলে কাজ করার কারণে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
সিলেটের আতিয়া মহলের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, জঙ্গিরা সারাদেশের ৬৩টি জেলায় এক সাথে রক্তের হলিখেলায় মেতে উঠেছিল। সেই অবস্থা থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বুকে ঈর্ষনীয় সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একটি প্ল্যাটফর্মে এনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা ও দেশের উন্নয়নের জন্য মানুষকে উজ্জীবিত করছেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) আইজিপির সিলেট আগমন উপলক্ষে তাঁর সম্মানে দক্ষিণ সুরমাস্থ একটি কনভেশন হলে জেলা ও মহানগর পুলিশের আয়োজনে সুধী সমাবেশে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেন, এই সরকার দায়িত্বগ্রহণের আগে বেশিরভাগ গ্রামেগঞ্জে কুঁড়েঘর দেখা যেতো। এখন আর কুঁড়েঘর খোঁজে পাওয়া যায় না। সর্বক্ষেত্রে এই সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।
এসময় তিনি সিলেটের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সিলেটবাসীর প্রতি দোয়া চান।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, শাবিপ্রবির ভিসি ফরিদ উদ্দীন আহমদ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মুরশেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।