সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় নৌ-বাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার (পিও) আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটা পরিকল্পনা মাফিক হতে পারে। কারণ আগুনটা লেগেছে ছয় তলা, নয় তলার পাশাপাশি মাঝেও। এভাবে বিভিন্ন স্থানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন কখনো লাগে না।’

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ৭ নং ভবনে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় নৌ-বাহিনীর একটি টিমকে।

এ সময় আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেখানে যেখানে আগুন লেগেছে সব পুড়ে গেছে। আমরা সব এখনো আইডেন্টিফাই করতে পারিনি, তবে করবো। আমাদের নৌ-বাহিনীর টিম এখানে আছে, কাজ করছে।’

কেন মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড জানতে চাইলে নৌ-বাহিনীর সিনিয়র চিফ পেডি অফিসার বলেন, ‘শর্ট সার্কিটের আগুন লাগে এক জায়গা থেকে, সব জায়গায় একসঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে না। এই আগুন একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে লেগেছে।’

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে একে একে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ১১টি ইউনিট যুক্ত হয়।

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে ৭ নম্বর ভবনে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ তথ্য দেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী— সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রয়েছে।