সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ বাংলাদেশির একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মো. রুক্কু মিয়া। ৭ লাখ টাকা ধার দেনা করে সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। আর বিকেলে ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
নিহত রুক্কু মিয়া ওরফে মো. রূপ মিয়া কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউপির ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার মৃত্যুর খবরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন স্বজনরা। পরিবারের একটাই দাবি, প্রিয়জনের লাশ যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ধার-দেনা করে সোমবার সকালে সৌদি আরবের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। সেখানে পৌঁছে বিকেলে ওমরাহ করার উদ্দেশে মক্কা যাওয়ার পথে আসির প্রদেশের আভা জেলায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে তাকে বহনকারী বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে রুক্কু মিয়াসহ ১৮ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। মঙ্গলবার ভোরে সেখানকার এক স্বজনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। এরপর থেকে কান্না থামছে না কারোর।
নিহতের স্ত্রী মাসুমা আক্তার জানান, ৭ লাখ টাকা ধার-দেনা করে পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সৌদি আরব গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, কাজে যোগ দেওয়ার আগেই ওমরাহ করবেন। কিন্তু যাওয়ার পরের দিনই তার মৃত্যুর সংবাদ পাই।
স্বজনদের একটাই দাবি প্রিয়জনের লাশটি যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
নিহত রুক্কু মিয়ার স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭) এলাকায় অটোরিকশা চালায়। দ্বিতীয় ছেলে হৃদয় ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে শিউলী আক্তার বিবাহিত।