সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যা, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চার জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরেকজনকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রবিউল, শুক্কুর, কামরুল হাসান ও আলী আকবর। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ডলি বেগমকে। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন নাসরিন বেগম। রবিউল ও ডলি বেগম জামিনে মুক্তির পর পলাতক রয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইদুল ইসলাম সুমন জানান, ২০০৫ সালের ২ মে ওই স্কুলছাত্রী লক্ষ্মীনগর গ্রামে স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। এর পরদিন থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৪ মে লক্ষ্মীনগর গ্রামের একটি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে ডলি বেগমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন ডলি পুলিশকে জানান, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের নাম পরিচয় জানান তিনি। রবিউল ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহায়তায় এ ঘটনা ঘটান। ১৭ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেছেন।