সংক্রমণে শীর্ষে জাপান, মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২২০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৯১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১১৩ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার ৬০৩ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৩০৪ জন এবং মারা গেছেন ২১৮ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৮১৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৮৭ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১০৫ জন এবং মারা গেছেন ১২৩ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭২ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩২৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। হংকংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪২৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।