চরম অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। রবিবার দিবাগত রাতে সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহে জননিরাপত্তার স্বার্থে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও পরিষেবার রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে এই পদেক্ষপ নিয়েছেন। সোমবার থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে।
কত দিনের জন্য জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।
গত শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বিক্রমাসিংহে। তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান। পরে লঙ্কান স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালে রনিলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শ্রীলঙ্কার আন্দোলন রবিবার শততম দিন পার করেছে। এ অবস্থায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ নিয়ে গত শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে বৈঠকও হয়েছে। সব দলের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে চলমান সংকটে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছে তামিল নাড়ু ভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দল। রবিবার ভারত সরকার জানিয়েছে, এই ইস্যুতে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক হবে। বৈঠকে ব্রিফিং করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও ড. এস জয়শঙ্কর।
উল্লেখ্য, গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পড়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের ঘাটতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশটিতে। সংকটের জন্য গোটাবায়া রাজাপাকসের প্রশাসনকে দায়ী করে আসছে জনগণ।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স