ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে বুধবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একজন কান্ডারি বেছে নেবে দেশটির পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে নতুন নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অন্য দুই প্রার্থী অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং দুল্লাস আলাহাপেরুমা। তবে মূল লড়াই হবে রনিল বিক্রমাসিংহে এবং দুল্লাস দুল্লাস আলাহাপেরুমার মধ্যে। আরেক প্রার্থী বামপন্থি জনথা ভিমুক্তি পেরামুনা দলের নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েকের নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্টের মাত্র তিনটি আসন রয়েছে। ফলে তার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।
তীব্র আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান। পরে লঙ্কান স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালে গত ১৫ জুলাই রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে বুধবারের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে দেশজুড়ে ফের বিক্ষোভ শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা, ক্ষমতাচ্যুত রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় লোকজন তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। এমনকি রাজাপাকসের মতো বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগ দাবি উঠেছে।
বিরোধী দল ও বিক্ষোভকারীদের কাছে দুল্লাস আলাহাপেরুমা অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তবে দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং সামগ্রিক অর্থনীতির এই বেহাল দশা তিনি কতটা সামাল দিতে সমর্থ হবেন, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের শাসনের কোনও বাস্তব অভিজ্ঞতা তার না থাকার কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিবেশী ভারতের প্রতি একটি অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে যিনিই নির্বাচিত হন না কেন, ভারত যাতে তার দেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে।